
নিউজ ডেস্ক: গত বছর পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করার পর থেকে কোন পরীক্ষাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ভাইরাল হবার খবর পাওয়া না গেলেও চলতি বছরেও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা ধ্বংসের এ মরণ খেলা বন্ধ করতে ২০১৮’র ন্যায় এ বছরও হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। তৈরি করা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী। এ নিয়ে কাজ করছে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলছেন, যেসব পদক্ষেপ মানুষের পক্ষে নেওয়া সম্ভব তার সবই নেওয়া হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তারাও এক ধরনের সন্ত্রাসী। এই প্রশ্ন সন্ত্রাসীদের জঙ্গিদের মতো করেই নিশ্চিহ্ন করা হবে। ফলে দেখা গেছে, সারা দেশের কোথাও গত ২০১৮ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। আর প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায় পরীক্ষার্থী আর অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আমরা চাই, অভিভাবকদের এই স্বস্তি অব্যাহত থাকুক। আর এ কারণেই মনিটরিং টিমের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং এই সংশ্লিষ্ট কোন গুজব ছড়ালে তাকেও সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন আলামত পেলেই হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে জানাতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রাখা হচ্ছে কড়া নজরদারি।
এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরিবহন, বিতরণসহ সব পর্যায়ে জোরদার করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এরমধ্যে প্রশ্নের একাধিক সেট প্রণয়ন ও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড নির্ধারণ অন্যতম। জানা গেছে, সারা দেশের কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার দিন সকালে ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ করতে হবে। ট্রেজারির নিকটবর্তী কেন্দ্রগুলোতে মাত্র আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন সংগ্রহ করতে হবে। আর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে পারবে শিক্ষকরা।
প্রশ্নপত্রের সব প্যাকেট থাকবে সিকিউরিটি টেপে মোড়ানো। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে সবার মোবাইল ফোন বা যেকোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ছবি তোলা যায় এমন মোবাইল ফোন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ব্যবহার করতে পারবে না।
সব মিলিয়েই প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে রীতিমতো মহাযজ্ঞে নেমেছে সরকার। পরীক্ষা চলাকালীন যেকোন ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেন মনিটরিং করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের তথ্যও মনিটরিং করা হবে।
শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন :